যশোর জেলার অন্তর্গত মনিরামপুর উপজেলার ১৪নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের, বিপ্রকোনা গ্রামে আঁখি বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধুর করুণ মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায় একুশে ফেব্রুয়ারি সোমবার ২০২২ ইং রাত নয়টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
মৃত গৃহবধুর দুইটি ছেলে আছে বলে জানা গেছে। বড় ছেলের বয়স পাঁচ বছর এবং ছোট ছেলের বয়স তিন বছর। তার স্বামী রফিকুল ইসলাম (২৮)
সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একুশে ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত নয়টার দিকে বিপ্রকোনা এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার চাল আদায়কারী হযরত গাজীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম(২৮) এর বাড়ি থেকে চিৎকার ও কান্নাকাটির আওয়াজ আসতে লাগে। তখন পাড়া প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখে ওই মহিলা মাটিতে পরে আছে আর ওর স্বামী সহ অন্যান্য অনেকে তার মাথায় পানি দিচ্ছে। সাথে সাথে তারা পার্শ্ববর্তী গ্রাম এর পল্লী চিকিৎসক এর কাছে ফোন করেন।
পল্লী চিকিৎসক জানান, আমি যত দ্রুত সম্ভব রফিকুল ইসলাম এর বাড়ি পৌঁছায় কিন্তু পৌঁছেই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করে দেখতে পায় রোগীটি একটু আগেই মারা গিয়েছে
তারপরও তার উন্নত চিকিৎসা এর জন্য মৃত মহিলার স্বামী রফিকুল ইসলাম তাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম কোনাকোলা বাজারে নিয়ে গেলেও ২/৩ জন চিকিৎসক তাকে দেখেই মৃত ঘোষণা করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ডাক্তাররা বলেন রোগীটি কিভাবে মারা গেছে সেটা উন্নত ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয় তবে প্রাথমিকভাবে হার্ট ফেইলর এর কারণে মৃত্যু হতে পারে ধারণা করা যায়।
সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে যান সহকারী পুলিশ সুপার, মনিরামপুর সার্কেল জনাব আশেক সুজা মামুন মহোদয় এবং অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম মহোদয়। সহকারী পুলিশ সুপার অফিসার ইনচার্জ কে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করার জন্য বলেন।
আপাতত ওই মহিলার লাশটি যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহিলাটির অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।